ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশব্যাপী সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে

দ্রুত জামাত ধরতে ওজুর বদলে তায়াম্মুম করা যাবে?

  • Reporter Name
  • প্রকাশিত : ১০ ঘন্টা আগে
  • ০ বার পাঠ করা হয়েছে

প্রশ্ন: গত জুমার সকালে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে পৌঁছতে দেরি হয়। আমাদের গ্রামে পৌঁছে দেখি, জুমার নামাজ প্রায় শেষের দিকে। ওজু করে আসতে আসতে ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। পরে আমি একাকি দুই রাকাত জুমার নামায আদায় করে নিই। জানার বিষয় হল- এমন ক্ষেত্রে জুমার জামাত পাওয়ার উদ্দেশ্যে তায়াম্মুম করার কি সুযোগ আছে?

উত্তর: জুমার নামাজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তায়াম্মুম করা সহিহ নয়; বরং ওজু করাই জরুরি। ওজু করে এসে জামাত না পাওয়া গেলে জোহর পড়তে হবে। জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কায় তায়াম্মুম করে জুমা পড়লে আদায় হবে না।

কেননা পানির ব্যবস্থা থাকলে ওজু করতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ওজু করাই জরুরি; তায়াম্মুম করলে তায়াম্মুম সহিহ হয় না।

তবে জানাজা ও ঈদের নামাজের হুকুম এর থেকে ভিন্ন। এই দুই নামাজে কখনো যদি এমন হয় যে, ওজু করতে গেলে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে তায়াম্মুম করা যাবে।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো ওজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)

এখন প্রশ্ন হলো, সব শর্ত মেনে গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে ওজু করতে হবে? উত্তর হলো, না।

কারণ ফরজ ও সুন্নত তরিকায় গোসল করার পরে নতুন করে ওজু করার প্রয়োজন পড়ে না । অথবা গোসল শেষে পেশাব পায়খানা করলে নতুন করে গোসলের প্রয়োজন নেই শুধু ওজু করে নেওয়াই যথেষ্ট।

হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) গোসলের পর ওজু করতেন না। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) গোসলের পর নতুন করে ওজু করতেন না। (সুনানে নাসায়ি)।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

দ্রুত জামাত ধরতে ওজুর বদলে তায়াম্মুম করা যাবে?

প্রকাশিত : ১০ ঘন্টা আগে

প্রশ্ন: গত জুমার সকালে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে পৌঁছতে দেরি হয়। আমাদের গ্রামে পৌঁছে দেখি, জুমার নামাজ প্রায় শেষের দিকে। ওজু করে আসতে আসতে ইমাম সালাম ফিরিয়ে ফেলেন। পরে আমি একাকি দুই রাকাত জুমার নামায আদায় করে নিই। জানার বিষয় হল- এমন ক্ষেত্রে জুমার জামাত পাওয়ার উদ্দেশ্যে তায়াম্মুম করার কি সুযোগ আছে?

উত্তর: জুমার নামাজ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলেও তায়াম্মুম করা সহিহ নয়; বরং ওজু করাই জরুরি। ওজু করে এসে জামাত না পাওয়া গেলে জোহর পড়তে হবে। জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কায় তায়াম্মুম করে জুমা পড়লে আদায় হবে না।

কেননা পানির ব্যবস্থা থাকলে ওজু করতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও ওজু করাই জরুরি; তায়াম্মুম করলে তায়াম্মুম সহিহ হয় না।

তবে জানাজা ও ঈদের নামাজের হুকুম এর থেকে ভিন্ন। এই দুই নামাজে কখনো যদি এমন হয় যে, ওজু করতে গেলে জামাত ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হয় তাহলে তায়াম্মুম করা যাবে।

ইসলামে দৈহিক পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হলো ওজু ও গোসল। পবিত্রতা ছাড়া নামাজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ আদায় করা যায় না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে নিজেদের শরীর (গোসলের মাধ্যমে) ভালোভাবে পবিত্র করে নাও।’ (সুরা মায়েদা: ৬)

এখন প্রশ্ন হলো, সব শর্ত মেনে গোসল করার পর নামাজের জন্য কি নতুন করে ওজু করতে হবে? উত্তর হলো, না।

কারণ ফরজ ও সুন্নত তরিকায় গোসল করার পরে নতুন করে ওজু করার প্রয়োজন পড়ে না । অথবা গোসল শেষে পেশাব পায়খানা করলে নতুন করে গোসলের প্রয়োজন নেই শুধু ওজু করে নেওয়াই যথেষ্ট।

হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.) গোসলের পর ওজু করতেন না। হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) গোসলের পর নতুন করে ওজু করতেন না। (সুনানে নাসায়ি)।