ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশব্যাপী সংবাদ কর্মী নিয়োগ চলছে

নাকের সর্দি পাক না নাপাক?

  • Reporter Name
  • প্রকাশিত : ১০ ঘন্টা আগে
  • ০ বার পাঠ করা হয়েছে

প্রশ্ন: নাকের সর্দি কি পাক? নামাজ পড়াকালীন বা মোনাজাতে কেঁদে নাকের সর্দি অর্থাৎ পানীয় জিনিসটা বের হলে আমার কাছে রুমাল না থাকায় আমি কি পাঞ্জাবিতে মুছতে পারব? পরবর্তীকালে সেই পাঞ্জাবিতে নামাজ হবে? অর্থাৎ সেটি কি পাক?

উত্তর: নাকের সর্দি বা পানি নাপাক নয়। অবশ্য যদি পুঁজ হয় তাহলে তা নাপাক। সুতরাং নাকের পানি কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি নয়। ওই কাপড়সহ নামাজ পড়া জায়েজ আছে। তবে ময়লার কারণে খারাপ লাগলে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক।

আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য।

হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকির হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারাকুতনী ৪৫০)

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নাকের সর্দি পাক না নাপাক?

প্রকাশিত : ১০ ঘন্টা আগে

প্রশ্ন: নাকের সর্দি কি পাক? নামাজ পড়াকালীন বা মোনাজাতে কেঁদে নাকের সর্দি অর্থাৎ পানীয় জিনিসটা বের হলে আমার কাছে রুমাল না থাকায় আমি কি পাঞ্জাবিতে মুছতে পারব? পরবর্তীকালে সেই পাঞ্জাবিতে নামাজ হবে? অর্থাৎ সেটি কি পাক?

উত্তর: নাকের সর্দি বা পানি নাপাক নয়। অবশ্য যদি পুঁজ হয় তাহলে তা নাপাক। সুতরাং নাকের পানি কাপড়ে লাগলে পবিত্র করা কিংবা পরিবর্তন করা জরুরি নয়। ওই কাপড়সহ নামাজ পড়া জায়েজ আছে। তবে ময়লার কারণে খারাপ লাগলে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, আম্মার ইবনে ইয়াসির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক।

আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেন, হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য।

হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকির হুকুমের ক্ষেত্রে)। (সুনানে দারাকুতনী ৪৫০)